‘শহরকে সুন্দর করতে অনেক বড় বড় দালানকোটার দরকার নেই। শুধু ময়লা-আবর্জনা সরিয়ে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখি আর গাছ লাগিয়ে পরিবেশকে সবুজ করে গড়ে তুলি।’ হবিগঞ্জ পৌরসভার পৌরপরিষদ ও শাখা প্রধানদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোছাঃ জিলুফা সুলতানা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ পৌরসভার সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এই সভায় তিনি আরো বলেন, ‘আমরা যদি সত্যিকার অর্থে এই শহরকে সুন্দর করতে চাই তবে অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলোকে সরিয়ে ফেলতে হবে।’ জিলুফা সুলতানা বলেন হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিমের নেতৃত্বে বর্তমান পৌরপরিষদ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে অনেক দুর এগিয়ে গেছেন। পুরোনো বর্জ্য অপসারিত হয়েছে। নতুন ল্যান্ড ফিল হয়েছে। ল্যান্ডফিলের রাস্তা হয়েছে। এখন বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে আরো কিছু দুর এগিয়ে নিয়ে একটি সুন্দর পরিনতির দিকে নিয়ে যেতে হবে।’ জেলা প্রশাসক শহরকে সুন্দর করতে কিছু পরামর্শ তুলে ধরেন। তিনি বলেন,‘হবিগঞ্জ জেলা খুবই সুন্দর একটি জেলা। সেই সৌন্দর্য্যের সাথে সমন্বয় করে আমাদেরকে হবিগঞ্জ শহরকে আরো সুন্দর করে তোলতে হবে।’ জেলা প্রশাসক হবিগঞ্জ পৌরসভার তৎপরতা ও কর্মকান্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে মেয়র আতাউর রহমান সেলিম বলেন,‘ বর্জ্য অপসারনসহ আমরা একে একে হবিগঞ্জ পৌরসভার সমস্যাগুলো সমাধান করছি। পৌরসভার সেবা বাড়াতে হলে আয়বর্ধক প্রকল্প গ্রহন করতে হবে।’ তিনি বলেন,‘ইতিমধ্যে নজীর সুপার মার্কেটের সামনে প্রায় ৫০ কোটি টাকার বেদখল হওয়া পৌরসভার নিজস্ব জমি আমরা উদ্ধার করেছি। জলাবদ্ধতা নিরসনে বেশকিছু খাল খনন ও কার্লভার্ট নির্মাণ ইতিমধ্যে সমাপ্ত হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা জেলা প্রশাসন এবং পৌরবাসীর সহযোগিতায় আমরা হবিগঞ্জকে একটি আদর্শ পৌরসভায় রূপান্তরিত করতে পারবো।’ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার উপপরিচালন প্রভাংশ সোম মহান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রঞ্জন চন্দ্র দে।
সভায় পৌর কাউন্সিলরদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মোঃ জাহির উদ্দিন, গৌতম কুমার রায়, টিপু আহমেদ, শাহ সালাউদ্দিন আহাম্মদ টিটু, সফিকুর রহমান সিতু, প্রিয়াংকা সরকার ও শেখ সুমা জামান। এছাড়াও হবিগঞ্জ পৌরসভা ও জেলা প্রশাসনের বিভিন্নস্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।#