হবিগঞ্জ পৌরসভার বর্জ্য প্রতিদিন শহর হতে সাড়ে ৪ কিলোমিটার দুরে রিচি ইউনিয়নের উত্তরকুল মৌজায় অবস্থিত প্রাথমিক ল্যান্ডফিলে অপসারণ অব্যাহত রয়েছে। ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর হতে এ কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে প্রতিদিন ৪ টি ডাম্প ট্রাক ও ২ টি এক্সকেভেটর এই অবর্জনা প্রতিদিন অপসারনের কাজে নিয়োজিত রয়েছে।-সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন হবিগঞ্জ পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাবেদ ইকবাল চৌধুরী। তিনি বলেন,‘হবিগঞ্জ শহরের ১২ হাজার হোল্ডিংয়ের মাঝে ৬ হাজার হোল্ডিং বাড়ী-বাড়ী বর্জ্য কার্যক্রম সংগ্রহ কার্যক্রমের আওতায় রয়েছে। প্রায় ২০ বছর আগে স্থানীয় অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দারিদ্র হ্রাসকরণ প্রকল্প হবিগঞ্জ পৌরসভায় কমিউনিটি ডেভেলপম্যান্ট কমিটি, সিডিসি গঠন করে। সেই থেকে সিডিসি’র মাধ্যমে বাড়ী-বাড়ী বর্জ্য সংগ্রহ কার্যক্রম পৌর এলাকায় চালু রয়েছে।’ পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন,‘প্রতিদিন প্রায় ২৫ টন বর্জ্য আমাদেরকে শহর হতে ৪ কিলোমিটার দুরে নিয়ে ফেলতে হয়। একদিন এই বর্জ্য জমিয়ে রাখার কোন উপায় নেই। এই চ্যালেঞ্জিং কাজটি হবিগঞ্জ পৌরসভা করে আসছে। প্রতিদিন সিডিসির ভ্যানগাড়ী পৌর এলাকায় বাইপাসের পাশে একটি সেকেন্ডারী ট্রান্সফার স্টেশন, এসটিএসে জমা রাখা হয়। জমানো আবর্জানা প্রতিদিন এক্সকেভেটরের মাধ্যমে ডাম্প ট্রাকে উঠিয়ে দেয়া হয়। এভাবে ৪ টি ডাম্প ট্রাক সকাল সাড়ে নয়টা হতে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত চালু থাকে। এই কার্যক্রমে একদিন বন্ধ রাখার কোন সুযোগ নেই। সেই অনুযায়ীই পৌরসভার আবর্জনা অপসারণের কাজ অব্যাহত রয়েছে।’ তিনি বলেন,‘প্যাডেল চালিত ভ্যানে শহর হতে সাড়ে চার কিলোমিটার দুরে সরাসরি বর্জ্য নেয়া কঠিন। তাই ট্রান্সফার স্টেশনে বর্জ্য রেখে সাথে সাথে সেগুলো ডাম্প ট্রাক দিয়ে অপসারণ করা হয়। ইতিমধ্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকে আরো উন্নত করতে হবিগঞ্জ পৌরসভা কাজ করছে। এর জন্য শহরের প্রতিটি বাসা-বাড়ীকে দৈনন্দিন বর্জ্য কার্যক্রমের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।#
