হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিম বলেন হবিগঞ্জ শহরের পুরো বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে একটি সুশৃঙ্খল অবস্থায় নিয়ে আসতে চাই। আর সে জন্য পৌরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি হবিগঞ্জ পৌরসভা আয়োজিত পরিচ্ছন্নতা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও জলাবদ্ধতা নিরসন সংক্রান্ত ‘উদ্বুদ্ধকরণ ও মতবিনিময় সভা’য় সভাপতির বক্তব্য রাখছিলেন। মেয়র বলেন,‘ বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় হবিগঞ্জ পৌরসভা গত ৩ বছরের অনেক দুর এগিয়েছে। পৌরসভার কোন ডাম্পিং স্টেশন ছিল না। বাইপাস সড়ক হতে ২০ বছরের আবর্জনার স্তুপ সরিয়েছি। সাথে সাথে অনেক প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে শহরের ৪ কিলোমিটার দুরে ডাম্পিং স্টেশন বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছি। এখন সারা শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি সুশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে নিয়ে আসতে পারলে আমরা পাবো একটি স্বাস্থ্যকর, সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন শহর। শহর পরিচ্ছন্ন থাকলে আমাদের নতুন প্রজন্ম সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করতে পারবে।’
শনিবার দুপুরে হবিগঞ্জ পৌরসভার সভাকক্ষে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও জলাবদ্ধতা নিরসন সংক্রান্ত ‘উদ্বুদ্ধকরণ ও মতবিনিময় সভা’ অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় হবিগঞ্জ পৌরএলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দের সাথে মেয়র মুক্ত আলোচনা করেন।
মেয়র আতাউর রহমান সেলিম বলেন,‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে আরো উন্নত করতে বাড়ী-বাড়ী বর্জ্য সংগ্রহ কার্যক্রমকে আরো জোরদার করা হবে।’ পৌরএলাকার সকল এলাকার বাসিন্দাদের তিনি যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা না ফেলে বর্জ্যবাহী ভ্যানগাড়ীতে দেয়ার জন্যে তিনি আহবান জানান।
মেয়র বলেন,‘আসন্ন ঈদ উল আযহায় শহর যাতে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে সে ব্যাপারে সকলকে সচেতন থাকতে হবে। নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানী দিয়ে কোরবানীকৃত পশুর উচ্ছিষ্টাংশ মাটিতে পুতে ফেলতে হবে অথবা নির্ধারিত স্থানে ফেলতে হবে।’ তিনি বলেন,‘এ বছর পৌরসভার গরুর বাজারের সামনে বাইপাস রোডে গরু রাখা যাবে না। এর বিকল্প হিসেবে নাতিরপুর রেলের বড় পুকুরের পাড়ে গরু রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর ফলে বাইপাসে অন্যান্য বছরের মতো অসহনীয় যানজটের সৃষ্টি হবে না।’
মতবিনিময় সভায় হোটেল রেষ্টুরেন্টের আবর্জনা কর্তৃক সৃষ্টি বিড়ম্বনার ব্যাপারে আলোচনা হয়। বক্তারা বলেন রেষ্টুরেন্টের আবর্জনা বস্তায় করে নতুন ষ্টেডিয়াম সংলগ্ন বাইপাস সড়কের পাশে গভীর রাতে ফেলা হয়। অথচ এই এলাকাকে হবিগঞ্জ পৌরসভা দীর্ঘদিনের আবর্জনামুক্ত করেছে। যারা রাতের আধারে এই বস্তাগুলো ফেলছে সেই সকল রেষ্টুরেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সভায় পৌর কাউন্সিলদের মাঝে বক্তব্য রাখেন মোঃ জাহির উদ্দিন, গৌতম কুমার রায়, মোহাম্মদ জুনায়েদ মিয়া, টিপু আহমেদ, শাহ সালাউদ্দিন আহাম্মদ টিটু ও শেখ সুমা জামান। সিডিসি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িতদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মোঃ আরব আলী, মনীষ আচার্য্য, মোঃ কামাল উদ্দিন খান, ভানু বনিক, মোঃ আলাউদ্দিন প্রমুখ।#