পুরাতন খোয়াই নদীতে অবৈধ স্থাপনা অতি দ্রুত নিজ দায়িত্বে সড়িয়ে ফেলার আহবান জানিয়েছেন হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিম। বুধবার পৌরসভার পক্ষ হতে পুরাতন খোয়াই নদী পরিচ্ছন্নকরনের কাজ চলাকালীন তিনি এ আহবান জানান। মেয়র বলেন,‘অবৈধ স্থাপনা যখন প্রশাসনের পক্ষ হতে উচ্ছেদ করা হবে তখন কিন্তু দখলকারদের বেশী ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। তাই নিজ দায়িত্বে স্থাপনা সড়িয়ে ফেলাই উত্তম।’ সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন,‘এ পুরাতন খোয়াই দীর্ঘদিন ধরে দখল ও আবর্জনায় পরিপূর্ন হয়ে থাকায় শহরে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও মশার কারনে জনজীবনে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। আমরা এই নদীকে ময়লা-আবর্জনামুক্ত করতে ইতিমধ্যে ৬ নং ওয়ার্ডের সর্বস্তরের নাগরিকদের নিয়ে পরামর্শ ও মতবিনিময় সভা করেছি। সকলের সমর্থন ও সহযোগিতায় আমরা মুসলিম কোর্য়াটার, নিউ মুসলিম কোয়ার্টার ও সিনেমা হল এলাকার পুরাতন খোয়াই নদীর অংশে পরিচ্ছন্নতা কাজ শুরু করেছি। এতে এলাকাবাসীর মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা এই পরিচ্ছন্নতা কাজ পর্যায়ক্রমে নাতিরাবাদ পর্যন্ত চালিয়ে যেতে চাই।’ মেয়র বলেন,‘ ইতিমধ্যে পুরাতন খোয়াই নদী খনন, দখলমুক্তকরণ, পরিচ্ছন্ন ও নান্দনিক করতে প্রশাসনের সর্বপ্রকার সহযোগিতার আশ্বাস পেয়েছি।’
এদিকে পুরাতন খোয়াই নদী পরিস্কারে হবিগঞ্জ পৌরসভার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বাপা হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল। তিনি বলেন ‘২০১৯ সালে খোয়াই নদী দখলমুক্ত করার করার কাজ শুরু হয়েই বন্ধ হয়ে যায়। আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই পুরাতন খোয়াই নদী অবৈধ দখলমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন করার জন্য দাবী জানিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছি। আমরা প্রত্যাশা করি হবিগঞ্জ পৌরসভা যে উদ্যোগ নিয়েছে তা যেন পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হয়।
পুরাতান খোয়াই নদীতে পরিচ্ছন্নতা কাজ চলাকালে ৬ নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর টিপু আহমেদসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার হবিগঞ্জে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আরো উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাবেদ ইকবাল চৌধুরী।#